কেপলার টেলিস্কোপ
2009 সালে নাসা কেপলার টেলিস্কোপ launch করেছিল। এর উদ্দেশ্য ছিল আমাদের সৌরজগতের বাইরে গ্রহ খুঁজে বের করা। এটি 4 বছর ধরে 1,50,000 তারা খুঁজে বের করছে। একটা গ্রহ যখন আমাদের চোখের সামনে দিয়ে তার মাতৃতারকা অতিক্রম করে তখন তারাটিকে ঢেকে দেয়, আমাদের চোখে নক্ষত্রের উজ্জ্বলতা কমে যায়। সূর্যগ্রহণের মত। একে ট্রানজিট বলে। কোন নক্ষত্রের উজ্জ্বলতা যদি হটাৎ কমে যায়, বুঝতে হবে ঐ নক্ষত্রের কমপক্ষে একটা গ্রহ আছে। সূর্যের চারপাশে গ্রহের গতি হল পর্যাবৃত্ত গতি। নির্দিষ্ট পর্যায়কাল পরপর গ্রহটা একই অবস্থানে আসবে এবং আমাদের চোখ বরাবর আসলে গ্রহটা তার নক্ষত্রের আলোকে আটকে দেবে। Clear ?
এভাবে ডজনখানেক গ্রহ খুঁজে পাওয়া গেছে এবং একটা রহস্যময় নক্ষত্র KIC 8462852 পাওয়া গেছে এই নক্ষত্রের উজ্জ্বলতায় বিশাল ড্রপ। কোন বৃহস্পতির মত বড় গ্রহ থাকলে নক্ষত্রের উজ্জ্বলতা এত কমতে পারে। তা নাহয় হল। কিন্তু ট্রানজিট হয় কয়েক ঘন্টার জন্য। এই নক্ষত্রের বেলায় এক সপ্তাহ ধরে ট্রানজিট হয়েছে এবং যে গ্রাফ পাওয়া গেছে তা অপ্রতিসাম্যিক। অর্থাৎ যাই নক্ষত্রটির আলোকে আটকাক না কেন, সেটা গ্রহের মত গোল নয়। 2011 সালে দেখা গেল নক্ষত্রটির আলো 15% কমে গেছে। একটা গ্রহ সর্বোচ্চ 1% উজ্জ্বলতা কমাতে পারে। 2013 সালে গিয়ে গ্রাফের ভয়ানক পরিবর্তন ঘটছে। গ্রাফে বিভিন্ন গভীরতার খাঁজ তৈরি হয়েছিল যা 100 দিন ধরে ছিল। কোন বিজ্ঞানী ব্যাখ্যা দিল, হয়ত আন্তঃনাক্ষত্রিক গ্যাসের মেঘ নক্ষত্রটিকে আবর্তন করছে। কোন বিজ্ঞানী মত দিল, হয়ত দশ হাজার ধুমকেতুর এক বিশাল ঝড় ( পৃথিবীর চেয়ে হাজারগুণ বড় ) আবর্তিত হচ্ছে। সর্বশেষ অনুমান হল Dyson Sphere. এটা কি জিনিস ? 60 এর দশকে পদার্থবিজ্ঞানী ফ্রীম্যান ডাইসন এক ধরণের sphere এর ভবিষ্যদ্বানী করেন। হয়ত Highly advanced civilization নিজেদের গ্রহের সমস্ত প্রাকৃতিক সম্পদ শেষ করার পর শক্তির জন্য তাদের সূর্যকে দানবীয় অবকাঠামো দ্বারা ঘিরে ফেলে। ঐ বিশাল অবকাঠামো ( Mega-structure ) সূর্যের সমস্ত শক্তি শোষণ করে উক্ত প্রাণীদের জন্য ব্যবহারযোগ্য করে তোলে। কে জানে, আসল কাহিনী কি ?