অতীত? না ভবিষ্যত?
===============
===============
এই লেখাটি লিখতে গিয়ে নিজের মধ্যে অনেক ভয় কাজ করছে লোকে নাতো আবার পাগল বলে বসে! আমার পরিচিত একজনকে কয়েক মাস আগে বলেছিলাম 'সময় ভ্রমণ'(time travel)এর কথা। সে কিছু বুঝেছে বলে মনে হয়নি তার আগেই ব্রু কুচ করে আমার দিকে অস্পষ্ট দৃষ্টিতে তাকালো। সে আমাকে পাগল বলবে তারও একটা শক্ত যুক্তি আছে!
বিজ্ঞানের জগতে সময় ভ্রমণ নিয়ে চিন্তা চর্চা ছিলনা। কিন্তু এখন আর সে ভয় নেই। এখন একটা টাইম মেশিন পেলে আমি দেখে আসবো সেই মুহূর্তটি, যখন গ্যালিলিও প্রথম তার টেলিস্কোপ তাক করেছিল মহাকাশে। কিংবা আইনস্টাইনকে তার বাড়িতে নিয়ে দিয়ে আসতাম! দেখে আসতাম কি করে এই মহাবিশ্বের ইতি ঘটবে।
সময় ভ্রমণ কি করে সম্ভব তা বুঝার জন্য চিন্তা করে হবে পদার্থবিজ্ঞানের মতো করে। আমাদের বাস্তব জগৎ ত্রিমাত্রিক, দৈর্ঘ্য, প্রস্থ এবং উচ্চতা। আইনস্টাইনের আপেক্ষিক তত্ত্ব আবিষ্কারের পর চতুর্থ মাত্রা হিসাবে সময়'কে(Time) ধরা হয়েছে। জগতের কোন কিছুই মসৃণ নয় একই কথা খাটে সময়ের জন্যও। আবার বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং এর মতে, সময় ভ্রমণের একটা সমস্যা হলো প্যারাডক্স বা স্ববিরোধীতা(গ্র্যান্ডফাদার, বাটারফ্লাই ইফেক্ট, ইনফরমেশন)। তার মতে, "মনে করুণ আপনি একটি সময় সুড়ঙ্গে বসলেন যা মাত্র ১ মিনিট লম্বা।এটায় চোখ রেখে আপনি নিজের ১ মিনিট আগের চেহারা দেখছেন। কিন্তু যদি আপনি সড়ঙ্গের ওপরের চেহারায় গুলি করেন তাহলে কি হবে? আপনি তাহলে ১ মিনিট আগেই মারা যাবেন। তবে গুলিটা কে করল!"
আমিও তার সাথে তালমিলিয়ে একটা কথা বলতে চাই, "ধরুন সময় বেয়ে আমি কয়েক দশক পেছনে গেলাম। গুলি করে মেরে ফেললাম আমার দাদার বাচ্চা বয়সের মানুষটাকে।তখন আমার দাদার কোন ছেলে হয়নি।তার মানে আমার জন্ম হয়নি।তাহলে আমি কিভাবে অতিতে গেলাম গুলিইবা করলাম কি করে!"
তবে, ভবিষ্যতে যাবা সম্ভব! এর অনেক গুলো গাণিতিক প্রমাণ ও পথ আছে তার মধ্যে একটা পরিচিত উপায় দিয়ে শেষ করবো। আমরা জানি, মহাবিশ্বে গতির একটি নির্দিষ্ট সীমা দেওয়া হয়েছে সেটা হলো আলোর বেগ(c=299 792458 m/s)। কোনো কিছুর গতি এর থেকে বেশি হতে পারে না। বিশ্বাস করুণ আর নাই করুণ এর কাছাকাছি বেগে যেতে পারলে আপনি চলে যাবেন ভবিষ্যতে!
মনে করুন, পৃথিবীকে বেষ্টন করে গোল করে একটি রেলপথ তৈরি করা আছে। এর উপর দিয়ে একটি দ্রুতগামী ট্রেন চলতে শুরু করলো। গতিবেগ আলোর বেগের খুব কাছাকাছি। ট্রেনটি একের পর এক চক্কর খেতে থাকবে পৃথিবীকে ঘিরে। প্রায় সাত বার প্রতি সেকেন্ডে। এবার ট্রেনের ভিতরে অদ্ভুত কান্ড ঘটতে থাকবে। বাইরের জগতের তুলনায় সময় প্রবাহিত হতে থাকবে ধীরে। ধরুন, ২০৫০ সালের ১ জানুয়ারি তারিখে ট্রেনটি ছেড়ে গেল। ১০০ বছর পরে, ২১৫০ সালের একই তারিখে শেষ হলো যাত্রা। কিন্তু ভেতরে যাত্রীদের সময় অতিবাহিত হবে মাত্র ১ সপ্তাহ। তাদের সময় বেগের কারনে এতটাই ধীরে ছিল যে ট্রেনের কাটানো ১ সপ্তাহ সময়ই বাহিরের ১০০ অতিবাহিত হয়ে গিয়েছে। তার মানে ট্রেনের ভেতরের সবাই ভবিষ্যতে চলে এসেছে!
তবে, ভবিষ্যতে যাবা সম্ভব! এর অনেক গুলো গাণিতিক প্রমাণ ও পথ আছে তার মধ্যে একটা পরিচিত উপায় দিয়ে শেষ করবো। আমরা জানি, মহাবিশ্বে গতির একটি নির্দিষ্ট সীমা দেওয়া হয়েছে সেটা হলো আলোর বেগ(c=299 792458 m/s)। কোনো কিছুর গতি এর থেকে বেশি হতে পারে না। বিশ্বাস করুণ আর নাই করুণ এর কাছাকাছি বেগে যেতে পারলে আপনি চলে যাবেন ভবিষ্যতে!
মনে করুন, পৃথিবীকে বেষ্টন করে গোল করে একটি রেলপথ তৈরি করা আছে। এর উপর দিয়ে একটি দ্রুতগামী ট্রেন চলতে শুরু করলো। গতিবেগ আলোর বেগের খুব কাছাকাছি। ট্রেনটি একের পর এক চক্কর খেতে থাকবে পৃথিবীকে ঘিরে। প্রায় সাত বার প্রতি সেকেন্ডে। এবার ট্রেনের ভিতরে অদ্ভুত কান্ড ঘটতে থাকবে। বাইরের জগতের তুলনায় সময় প্রবাহিত হতে থাকবে ধীরে। ধরুন, ২০৫০ সালের ১ জানুয়ারি তারিখে ট্রেনটি ছেড়ে গেল। ১০০ বছর পরে, ২১৫০ সালের একই তারিখে শেষ হলো যাত্রা। কিন্তু ভেতরে যাত্রীদের সময় অতিবাহিত হবে মাত্র ১ সপ্তাহ। তাদের সময় বেগের কারনে এতটাই ধীরে ছিল যে ট্রেনের কাটানো ১ সপ্তাহ সময়ই বাহিরের ১০০ অতিবাহিত হয়ে গিয়েছে। তার মানে ট্রেনের ভেতরের সবাই ভবিষ্যতে চলে এসেছে!