রকেট শব্দটা শুনলেই আমাদের মন আকাশের দিকে চলে যায়। জেট প্যাকও রকেটের উদাহরণ। সব রকেটেরই মূল গঠন প্রায় একই রকম। তরল জ্বালানির রকেট প্রথম Robert Goddard ১৯২৬ সালে প্রথম আবিষ্কার করেছিলেন। এধরনের রকেটের নকশা উপলব্ধি করা মোটামুটি সহজ। জ্বালানী এবং জারক। Goddard প্রথম রকেট তৈরীর সময় পেট্রোল এবং তরল অক্সিজেন ব্যবহার করেছিলেন যা Combustion Chamber এ পাম্প করা হয়। এর ফলে যে রাসায়নিক বিক্রিয়ার সৃষ্টি হয় তার জন্যে রকেট সামনে চলতে শুরু করে। রাসায়নিক বিক্রিয়ায় প্রসারিত গ্যাস একটি সরু নল দিয়ে প্রচন্ড বেগে বের হয় এবং রকেটও প্রচন্ড বেগে চলতে শুরু করে। পাঁচটি ধাপে এটি সম্পন্ন হয়।
জ্বালানি: বর্তমানে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় কেরোসিন, তরল হাইড্রোজেন ও হাউড্যাজাইন।
জারক: জারক হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে তরল হাইড্রোজেন বা নাইট্রোজেন টেট্রোক্সাইড।
পাম্প: পাম্প জ্বালানি ও জারকের দহন প্রকোষ্ঠের দিকে ঠেলে দেয়।
দহন প্রকোষ্ঠ: জ্বালানি ট্যাঙ্ক ও জারকের বিক্রিয়া হয় এইখানে। জ্বালানি জ্বলে ওঠে ও গ্যাসের তীব্র চাপের সৃষ্টি হয়।
নজল বা মুখ: এখানে এসে গ্যাসের বেগ আরও বেড়ে যায়। এর পরেই তা বেরিয়ে পরে। আর এইখানেই নিউটনের তৃতীয় সূত্র মেনে গ্যাসের ধাক্কায় রকেট সামনে এগিয়ে চলে।
Written & photo:W. Shanto @w. shanto